ঢাকা প্রতিনিধি মাসুদ রানা : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের অকাল মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসনটি শূন্য হয় তাই শূন্য আসনটি পূর্ন করার জন্য উপনির্বাচনের দিন ধায্য হয় তার পেক্ষিতে ঢাকা-১৮ আওয়ামী লীগের সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেন সাহারা খাতুনের অতি বিশ্বস্ত আস্থাভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এস. এম.তোফাজ্জল হোসেন। উক্ত আসনটি গঠিত রাজধানীর দক্ষিণখান, উত্তরখান, উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ, বিমানবন্দর ও খিলক্ষেত থানার পুরো এলাকা এবং ভাটারা থানার সামান্য অংশ নিয়ে ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসন। এই আসনের ২১৫ টি কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭৭৩ জন।স্থানীয় জনগণের দাবি ঢাকা ১৮ আসনের ত্যাগী ও জনবান্ধব নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের পরীক্ষীত সৈনিক তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থন যাচাই করে ঢাকা- ১৮ আসনের দায়িত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এস. এম.তোফাজ্জল হোসেন’কে দিলে জনগন উপকৃত হবে। উল্লেখিত নেতৃবৃন্দ গণমানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এবং আওয়ামী লীগের দুর্দিনে লড়াই সংগ্রামে বিভিন্ন আন্দোলনে স্ব-শরীরে মাঠে থেকে নেতা কর্মী দের সুসংগঠিত করে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দাবী সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। এবারের উপ-নির্বাচনে সর্বাধিক আলোচনায় আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের পরিচিত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জল হোসেন । ইতি পূর্বেও তিনি স্থানীয়দের মতামতে সবার থেকে এগিয়ে আছেন তিনি দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তার বড় ভাই দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়নের রুপকার মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. মোজাম্মেল হক পর্যায়ক্রমে ২৭ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। নিজের মনোনয়নের ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, আমি গত নির্বাচনেই দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী ছিলাম, দল আমাকে দেয়নি, এতে আমার দুঃখ নেই। এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই সিদ্ধান্ত নিবেন, সেটা আমি এবারও মেনে নিবো। ঢাকা ১৮ আসনের মাঠের রাজনীতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জল হোসেন এগিয়ে রয়েছেন। দক্ষিণখান, উওরখান, উওরাপূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, বিমানবন্দর,খিলক্ষেত, তুরাগ ও ভাটারাসহ ঢাকা ১৮ আসনের প্রতিটি এলাকায় তার কর্মী-সমর্থকও বেশ সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, আমি স্কুলে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি আন্দোলন-সংগ্রাম প্রতিটি মিটিং মিছিলে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। ১৯৬৮ সালের দক্ষিণখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. মোজাম্মেল হকরে সান্নিধ্যে থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কর্মকান্ডে ব্যাপক ভাবে সম্পৃক্ত থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নেতৃবৃন্দের সাথে অংশগ্রহন করি। আমাদের নির্বাচনী এলাকা থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এম, এন, এ নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে পূণনির্বাচনে ডঃ কামাল হোসেন কে এম, এন, এ নির্বাচিত করা হয়। ১৯৭১ সালে দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্রহন করি। দীর্ঘ নয় মাস ২ নং সেক্টরে মেজর হায়দার সাহেবের নেতৃত্বে সরাসরি বিভিন্ন সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করি। ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয়ের পরে অস্ত্র জমা দিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করি। ১৯৭২ সালে উত্তরখান ইউনিয়ন বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদে নির্বাচনে ছাত্রলীগ প্যানেলে বেলটে মাধ্যমে ভিপি নির্বাচিত হই। ১৯৭৩ সালে জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের প্যানেলে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় ছাত্র সংসদ ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হই। ১৯৭৩ সালে দক্ষিণখান ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করি এবং ১৯৭৩ সালে গুলশান থানা আওয়ামী যুব লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর প্রতিবাদ করায় কুচক্রী মহল ও তৎকালীন সেনা বাহিনীর অত্যাচারে ৬/৭ মাস পলাতক জীবন যাপন করি। ১৯৭৭ ও ৭৮ সনে সরকারী তিতুমীর কলেজ ও তেজগাঁও কলেজকে জাসদ মুক্ত ছাত্রলীগ গড়ে তুলি। ১৯৮১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তনের পর বিমান বন্দরে ব্যাপকভাবে জনসমাবেশে নেতৃত্ব দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানানোর মাধ্যমে রাজনৈতিক তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল প্রকার কর্মকান্ডে দলীয়ভাবে নিজেকে নিয়োজিত করি। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, গুলশান থানা আওয়ামী যুবলীগ ও সভাপতি, দক্ষিণখান ইউনিয়ান আয়ামী যুবলীগের দায়িত্ব পালন এবং ঢাকা নগর আওয়ামী লীগের সাথে আন্দোলন, সংগ্রামে নিয়োজিত থাকিয়া সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করি। ১৯৯২ সালে নবগঠিত বৃহত্তর উত্তরা থানায় আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রামে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করি। ২০০৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব লাভ করি ও পরবর্তীতে বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ৩ আগস্ট ২০১১ সালে দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আশা রাখি দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার দিকটি বিবেচনা করবেন।ঢাকা-১৮ আসন আসন্ন উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস এম তোফাজ্জল হোসেন। মুক্তিযোদ্ধা এ নেতার দক্ষিণখান এলাকায় দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ২৭ বছর দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১০ সালে ভাইয়ের মৃত্যুর পর বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জল দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দক্ষিণখান এলাকায় স্কুল-কলেজসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন তিনি। বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিদ্বতার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জল কে উৎসাহ জোগাচ্ছে তাঁর সমর্থক নেতাকর্মীরা।স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী জানায়, এ আসনে বরাবরই বহিরাগত নেতারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হচ্ছেন। এবার দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে একজন স্থানীয় প্রার্থী দেওয়ার অনুরোধ জানানো হবে। স্থানীয় কোনো নেতা সংসদ সদস্য হলে এলাকার সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এ আসনের এলাকাগুলোর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং উত্তরার মতো গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা যেমন রয়েছে তেমনি উত্তরখান, দক্ষিণখান, ডুমনি, হরিরামপুরের মতো পিছিয়ে থাকা এলাকাও আছে। ফলে উন্নয়নের সমন্বয়ের স্বার্থে আসনটিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।পরিশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আসন্ন ঢাকা-১৮ আসন জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্য দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। উল্লেখ্য যে, আমাদের পরিবারের বিগত ৫০ বছরের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সু-ফলের অংশ হচ্ছে, অত্র অঞ্চলে প্রত্যেক টি পরিবারে আমাদের নিজেস্ব লোকবল রয়েছে।দেশরত্ন শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি সর্বোপরি সাহারা আপার অসমাপ্ত কাজ গুলো শেষ করবো আর আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই আমি কথা দিলাম আমার উত্তরা এলাকার প্রত্যেকটি রাস্তা,ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, পাবলিক টয়লেট, স্কুল কলেজ, মসজিদ, মন্দির সব জায়গায় সর্বোচ্চ উন্নয়ন করার চেষ্টা করবো ।