মোহাম্মদ হাসানঃ শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ বৃহস্পতিবার। আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ তার বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেছিলেন।বৌদ্ধ সম্প্রদায় নানা আচার ও অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবটি উদযাপন করবে। এটি আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস দেশের প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হবে কঠিন চীবর দানোৎসব। বৌদ্ধ মতে, এ পুণ্যময় পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব তথাগত গৌতম বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনার পর ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেন। মানব জাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তার ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ প্রদান করেন। একই দিনে তার তিন মাসের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি ঘটে। পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তিথি। প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। এ প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস ধরে দেশের প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে শুরু হবে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব। করোনা মহামারীর কারণে এ বছর অনাড়ম্বরভাবে উৎসবটি উদযাপন করা হবে বলে জানান আয়োজকরা। সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিহারে শুরু হয় বৌদ্ধপূজা। সন্ধ্যায় ওড়ানো হবে ফানুস।