মোহাম্মদ হাসানঃ আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির রায় ঘোষণার পর মিন্নীর বাবা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। কিন্তু আমার মেয়ের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। এখন ভরসা উচ্চ আদালত। সেখান থেকেই আমার মেয়েকে খালাস করে আনব। মিন্নীর বাবা বলেন, শুরু থেকে পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছিল। পুলিশি তদন্তের ভিত্তিতেই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। পুরো বিষয়টাতে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে মিন্নিকে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শাসিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির নির্দেশ দেন আদালত। বাকি চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৪), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২২), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (২০), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২৩), মো. হাসান (২০) ও নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (২০)। আসামিদের মধ্যে মো. মুসা পলাতক আছেন। মুসা ছাড়া অন্য আসামিদের উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও মামলার অপর চার আসামি রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২১), মো. সাগর (২০), মো. মুসা (২৩) ও কামরুল ইসলাম সাইমুনকে (২২) খালাস দেওয়া হয়েছে। রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড (২৫) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে চার্জশিটেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে রিফাত ফরাজী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। একই ঘটনায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামি যশোরে কিশোর সংশোধনাগারে আছে। শিশু আদালতে তাদের বিচার চলছে।