সংবাদ সংগ্রহে (মাহ মুদুল হাসান ফাহিম):- ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে একটু ভেতরে ডেমরার মধ্যে ডগাইর নামক ছোট একটি এলাকার ছোট্ট একটি শিশু বয়স ৭ হবে। বাচ্চাটি প্রতিদিনের ন্যায় দুপুরে মসজিদের মক্তবে পড়তে যায়। যাওয়ার সময় মায়ের সাথে শেষ কথা হয় শেষ দেখা হয়। কে জানত মসজিদে থাকা হুজুর লেবাসধরী এক কসাই তার জন্য অপেক্ষা করছে তার গলা কাটার জন্য! সকল বাচ্চা মক্তব ছুটির পরে চলে গেলো কিন্তু ঐ শিশুটা গেলো না। অনেক খোজাখোজির পর বিকালে ফোন আসে শিশুটির পরিবারের কাছে, ফোনে থাকা অপর ব্যাক্তি বলে বাচ্চা চাইলে ৩ লক্ষ টাকা সন্ধ্যার মধ্যে যদি মসজিদের খাটিয়ার মধ্যে রেখে না যায় তাহলে সকালে ছেলের লাশ পাবে। গরীব বাবা মা কোন মতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জোগাড় করে ঠিক মসজিদের খাটিয়ার উপর রেখে আসে। কিন্তু সকালে সন্তান আর বাসায় ফিরে না। এর মধ্যে এলাকায় মানুষের কাছে টাকা দেওয়ার কথা জানাজানি হলে সবার সন্দেহ হয় হুজুরের উপর। আস্তে আস্তে সন্দেহ বাড়তে থাকে, এলাকাবাসী দুপুরে ডেমরা পুলিশকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানালে তারা এসে যখন হুজুরকে ধমক দিয়ে জিজ্ঞাস করে তখন সে ভয় পেয়ে দৌড় দেয়, পুলিশ এবং জনগণ দৌড় দিয়ে তাকে ধরে।মাইর দেওয়ার পর সে স্বীকার করে যে শিশুটি তার কাছে। পরে আরো মারার পরে বলে শিশুটি মসজিদের ২য় তলার সিড়ির নিচে। সিড়ির নিচে যা ছিলো তার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলোনা বিশেষ করে সন্তানের পিতা মাতা। বস্তা বন্দি হয়ে পড়ে আছে, শিশুটির গলায় ধারালো ছুরি দ্বারা কাটা পা দুটো তার বাধা এবং হাতটা কাটা। জেনে অবাক হবেন, হুজুর লেবাসধারী ঐ কসাইটা নাকি স্থানীয় মসজিদের ইমাম এবং এই নিস্পাপ শিশুটিই তার কাছেই কুরআন শিখত।এ বিভৎস হত্যাকান্ডের সাথে মুয়াজ্জিন ও জড়িত ছিল এজন্যই মানুষ হতবাক!