নিজেস্ব প্রতিবেদক:সোনাগাজীতে গাঁজা কাটতে ছুরি না দেয়ায় মো. আরমান (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্র ও মো. দুলাল মিয়া (৫৮) নামে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক আহত করেছে নাছির উদ্দিন নামে এক সন্ত্রাসী।উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের মধ্যমে আহম্মদপুর গ্রামের শহীদ মানুমিয়ার বাজারে শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা হামলাকারী সন্ত্রাসীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।পুলিশ, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, শহীদ মানু মিয়ার বাজারের চা দোকানী নূর আলম তার স্কুলপড়ুয়া ছেলে আরমানকে দোকানে রেখে তিনি নামাজ পড়তে যান। এসময় মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামের নূরুল কালামের ছেলে, স্থানীয় সন্ত্রাসী নাছির উদ্দিন রুমন দোকানে এসে গাঁজা কাটতে একটি ছুরি চান। তাকে ছুরি দিতে অস্বীকার করলে দোকানের চুলার সামনে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে স্কুল ছাত্র রুমনকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায় রুমন। এসময় দোকানে উপস্থিত বৃদ্ধ দুলাল মিয়া তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করে সে। ছুরি হাতে দৌঁড়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা তাকে চরডুব্বা গ্রাম থেকে ছুরিসহ আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কসপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত স্কুল ছাত্র হাজী রহীম উল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনির ছাত্র ও চরডুব্বা গ্রামের নূর আলমের ছেলে। আহত বৃদ্ধ মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামের তোফায়েল আহম্মদের ছেলে।এ ব্যপারে বৃদ্ধ দুলাল মিয়ার ছেলে নূর করিম রুবেল বাদি হয়ে সন্ত্রাসী নাছির উদ্দিন রুমনকে একমাত্র আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।