মোহাম্মদ হাসানঃ ঘটনার পর থেকেই নিশ্চিত ছিলাম। মিন্নী ছিল নাটের গুরু। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি তখন আমাদের কথা। আদালতের এই রায়ে আজ তা দিনের আলোর মতো স্পট হয়ে গেল। এই মিন্নীর ষড়যন্ত্রে আমার ছেলে রিফাত খুন হয়েছিল। বরগুনা জেলা জজ আদালত চত্বরে রায়ের পরে সংবাদ মাধ্যমে এসব কথা বলেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা আ. হালিম দুলাল শরীফ। তিনি বলেন, আমার ছেলের হত্যা মামলার রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আমরা প্রথম থেকেই জানতাম মিন্নী ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূলে। তার ষড়যন্ত্রে পরিকল্পনায় আমার ছেলেকে হত্যা করেছে নয়ন বন্ডসহ অন্যরা। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। আজ বুধবার শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শাসিদ্দিকা মিন্নীসহ ৬ জনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেনন আদালত। বাকি চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান চার্জশিটের ২৪ আসামির মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন। এদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকা ও অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকা ও আসামিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি পৃথক চার্জশিট দেয় পুলিশ। গত বছরের ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।