মোহাম্মদ হাসানঃ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের মিথ্যা অভিযোগে পুলিশের ছয় সদস্যসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করায় বাদীর বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত মামলা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের মিথ্যা অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন পতেঙ্গা এলাকার নুরুল আবছার নামে এক ‘মাদক ব্যবসায়ী’। আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ তদন্ত করে।তদন্তে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নুরুল আবছারের অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। পরে আদালত পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খারিজ করে দেন। এবার মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করায় দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে বাদি নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদি হয়ে মামলাটি করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম।দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফর কবির চন্দন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে মামলা করলে তা যদি প্রমাণিত না হয়, তাহলে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করা যায়। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৮(গ) ধারায় নুরুল আবসারের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।”নিজেকে পতেঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে আবসার তার মামলায় অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৮ সালের ১ জুন বিকালে পতেঙ্গা থানা কাঠগড় এলাকা থেকে তাকে পুলিশ সদস্যরা তুলে নিয়ে ওসি আবুল কাশেম ভূ্ঁইয়ার কাছে নিয়ে যান। তার কাছ থেকে মোবাইল, গাড়ির চাবি, টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়।তার দাবি, পরদিন দুপুর পর্যন্ত আটকে রেখে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী অপবাদ দিয়ে’ ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে তিনি ১৫ লাখ টাকা এএসআই কামরুজ্জামানের হাতে দেন। কিন্তু অবশিষ্ট টাকা না দেয়ায় তাকে বিদেশি মদ উদ্ধারের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চালান দেওয়া হয়।এদিকে আদালতের নির্দেশে করা তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। গত ২৫ মার্চ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলটি নিষ্পত্তি করে।আবসারের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় বলা হয়, মামলায় নুরুল আবসার তার শ্যালকের সাথে এএসআই তরুণ কান্তির শর্মার সাথে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে ১৫ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগেরও কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।