মাকসুমুল মুকিম, দোহার – নবাবগঞ্জ (ঢাকা) ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা বটতলা সার্বজনীন মন্দিরের সাতটি প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় এক পাগল (১৭) কে আটক করেছে পুলিশ। মন্দিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ চন্দ্র জানান, উপজেলার শোল্লা বটতলার মন্দির প্রাঙ্গণে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা শিল্পীরা বেশ কয়েকটি প্রতিমা তৈরি করে রেখেছিলেন। বিগত ২৫/৩০ বছর ধরে এখানে প্রতিমা তৈরির কাজ করেন প্রতিমা শিল্পীরা। শনিবার দিবাগত রাতে দুস্কৃতিকারীরা মন্দিরের সীমানা প্রাচীর টপকে গিয়ে ভেতরে থাকা মাটির ৬টি সরস্বতী প্রতিমার বিভিন্ন অংশ ও লক্ষ্মী মন্দিরের ভেতরের থাকা লক্ষ্মী প্রতিমার কয়েকটি অংশ ভেঙে ফেলে। রোববার সকালে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর দেখে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়। বেলা ১১টার দিকে শোল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান তুহিনুর রহমান ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক অনুপম দত্ত নিপু ঘটনাস্থলে এসে তাঁরা এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সেখানকার শ্বশান ঘাটে স্থানীয় যুবকরা এক পাগলকে দেখতে পায় তার হাতে প্রতিমার ভাঙচুরের কিছু অংশ ও শাখা সিঁদুর রয়েছে। রোববার সাড়ে ৩টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দোহার সার্কেল এসপি মো. জহিরলি ইসলাম, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দী মনজু, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শেখ। দোহার সার্কেল এএসপি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এক পাগলকে আটক করা হয়েছে। ছেলেটির বয়স কম আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আনুমানিক ১৭ বছর বয়সের একজন পাগল এ কাজটি করেছে। তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সে একেক সময় একেক নাম বলছে। তবে এ ঘটনায় মন্দির কমিটি কোন অভিযোগ করেনি।