দাগনভূঞা ডেস্ক: ফেনীর – দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর গ্রামে রৌশন আলী ভূঞা বাড়ীতে নির্মাণ ঠিকাদার আনিছুর রহমান (৪২) এর মৃত্যুর কারণ গত ৩ মাসেও জানা যায়নি। আনিছের স্ত্রী তার দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে বর্তমানে অনেক কষ্টে দিন যাপন করছেন। স্বামীহারা তাজ নাহার বেগম ছেলে মেয়েদের নিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে স্বামীর মৃত্যু রহস্য উৎঘাটন করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ নিয়ে আনিছের পরিবারে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়ছে।উল্লেখ্য যে, গত ১২ জানুয়ারী দিবাগত রাত্রে ঐ বাড়ীর রোকেয়া বেগমের ঘরে আনিছের মৃত্যু হয়। ১৩ জানুয়ারী সকালে পুলিশ খবর পেয়ে ঐ ঘর থেকে আনিছের মৃত দেহ উদ্ধার করে ফেনীতে ময়না তদন্তের জন্য পাঠান। ঐ দিন বিকালে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা রকম বক্তব্য রয়েছে। আনিছ সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর গ্রামের বুদ্দিয়া বাড়ীর বাসিন্দা।আনিছের স্ত্রী তাজনাহার বেগম নার্গিসের করা দাগনভূঞা থানায় একটি অপমৃত্যু ডায়েরী এবং আনিছের স্বজনদের থেকে জানা যায়, ১২ তারিখ রাত্রে আনিছ ঘরে আসেনি। রাতে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে তিনি খবর পান আনিছ মারা গেছে। তার লাশ মোমারিজপুর গ্রামে রৌশন আলী ভূঞা বাড়ীর রোকেয়ার ঘরে রয়েছে। আনিছ রোকেয়া বেগমের নির্মানাধীন ঘরের ঠিকাদার ছিলেন এবং গত ৩ মাস যাবত তিনি সেখানে যাতায়াত করতেন। সকালে আনিছের লাশ ঐ ঘরে পাওয়া যায়। আনিছ স্ট্রোকের রোগী ছিলেন, এর আগে ২/৩ বার তিনি স্ট্রোক করেন।অপরদিকে রোকেয়া বেগম জানান, আনিছ সকাল বেলা তার ঘরে এসে চটপট করতে করতে ঘরে লুটিয়ে পড়েন এবং তাকে আমি একটি নাপা ট্যাবলেট ও পানি দিই। তার কিছুক্ষণ পরেই আনিছ মারা যায়। উক্ত ঘরে রোকেয়া বেগম এবং তার ৯ বছরের ছেলে ছাড়া আর কেউ ছিল না বলে রোকেয়া জানান। আনিছের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা রকম অভিযোগ রয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আনিছের মৃত্যুর ময়না তদন্ত রিপোর্ট এখনো আমাদের হাতে আসেনি। রিপোর্টে যদি হত্যার ঘটনার আলামত পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।এলাকাবাসী ও আনিছের স্বজনরা মৃত্যুর সঠিক কারন উৎঘাটন করে প্রকৃত রহস্য উম্মোচন করার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।