নোয়াখালী প্রতিনিধি:
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঢাকা,চট্টগ্রাম,খুলনা বিভাগের সকল পৌরসভা মেয়রদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে কোভিড-১৯ ও পৌরসভার নানা সমস্যা সমাধানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, সিনিয়র সচিব, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলবৃন্দ।
এ সময় মন্ত্রীর কাছে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র পৌরসভার নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন , ১৯৭৩ সালে চৌমুহনী পৌরসভা সৃষ্টি হয়েছে ২০.৭০ বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে বর্তমানে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫২ জন লোকসংখ্যা নিয়ে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা গঠিত হয়।চৌমুহনী পৌরসভা সৃষ্টি হয়ে এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ীক প্রাণকেন্দ্র পরিণত হয়। পৌর এলাকায় চারপাশে তেমন কোন কৃষি জমি এবং কোনো কলকারখানা নেই শুধুমাত্র গ্লোব ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি ছাড়া। গরিব লোকজন প্রধান সড়কের দুই পাশে ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করে,তাই হকারদের পুর্নবাসনের জন্য একটি বড় জায়গা প্রয়োজন।
পৌরসভার ভিতরে অসংখ্য ছোট-বড় খাল প্রবাহিত। অধিকাংশ দখল হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে যায়। তাই পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে জোর দাবি জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা একান্ত প্রয়োজন। জনবহুল এই শহরে অনেক রাস্তাঘাট আছে সেগুলো অনেকটাই কাঁচা পাকা রাস্তা।রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য বিশেষ বরাদ্দের প্রয়োজন।বর্তমানে করোনার কারণে পৌরসভার রাজস্ব আয় কমে গেছে ফলে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হতে বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।