ফরহাদ মাহমুদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:- দীর্ঘদিন থেকেই তিনি হার্ট ও কিডনিসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। আজ সোমবার ভোরের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে দয়াগঞ্জের বাসা থেকে দ্রুত ইব্রাহিম ডায়াবেটিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মহিউদ্দিন বাহার ১৯৪৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের একজন সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব। চাকরি থেকে অবসরে যান ২০০৫ সালে। শুধু ইত্যাদিই নয়, আশির দশকের শুরু থেকে আমার প্রতিটি অনুষ্ঠানেই মহিউদ্দিন ভাই ছিলেন নিয়মিত শিল্পী। তার সঙ্গে ছিলো আমার আত্মিক সম্পর্ক। শ্যুটিং ছাড়াও প্রায় নিয়মিতই তিনি আমার অফিসে-বাসায় আসতেন, গল্প করতেন। অভিনয়কে খুব ভালোবাসতেন। ইত্যাদিতে সর্বশেষ অভিনয় করেছেন ২০১৮ সালের মার্চ মাসে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্বে)। সেসময়ও তিনি অসুস্থ ছিলেন, সেভাবে হাঁটাচলা করতে পারতেন না। কিন্তু অভিনয়ের প্রবল ইচ্ছে থাকায় আমরা এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে আসি। সবাই মিলে কোলে করে তাকে দোতলায় উঠাই। অনেকদিন পর সহশিল্পীদের কাছে পেয়ে সারাদিন তাদের সঙ্গে গল্প করে কাটিয়ে দেন। তার স্মৃতিচারণ প্রসঙ্গে ইত্যাদির উপস্থাপক হানিফ সংকেত বলেন,” তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, সহজ-সরল মানুষ। অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে ২০০৫ সালে অবসর নেন এই অভিনেতা। খুব কাছ থেকে দেখেছি বলেই জানি, মহিউদ্দিন ভাই ছিলেন একজন সৎ, নীতিবান আদর্শ সরকারী কর্মকর্তা। “