মোহাম্মদ হাসানঃ বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপথে চলাচলকারী জাহাজের ব্যবহারে পরিবেশবান্ধব শূণ্য দশমিক ৫(০.৫)% সালফার যুক্ত জ্বালানি তেল আমদানির ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।অবশেষে প্রতিক্ষার প্রহর কেটে সকল পক্রিয়া শেষে আগামীকাল সকলে মেঘনা জেটিতে দেশে প্রথমবারের মত সরকারিভাবে আমাদানিকৃ পরিবেশ বান্ধব লো সালফার যুক্ত ফার্নেস ওয়েল বহনকারী অয়েল ট্যাঙ্কার টিএমএন প্রাইড বার্থ নেবে। আজ ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৯ ঘটিকায় বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশনের(বিপিসি) মাধ্যমে মেঘনা পেট্টোলিয়াম লি. কর্তৃক আমদানীকৃত ১৫হাজার মে.টন লো সালফারযুক্ত ফার্নেস অয়েল আনুষ্টানিকভাবে সরবরাহ উপলক্ষে মেঘনা জেটিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে অনুষ্টানের আয়োজন করেছেন।বিপিসির চেয়ারম্যান, পরিচালক মার্কেটিং, পদ্মা,মেঘনা, যমুনা অয়েল কোম্পানী লি. এর এমডি, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) নির্দেশনা অনুযায়ী এই লো সালফারযুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের জন্য ৫ বছর আগে নির্দেশনা ছিল। অবশেষে নানা চড়াই-উতরাই’র পর সে নিদের্শনা বাস্তবায়ন হতে চললো। গত মে মাসে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে জাহাজগুলো বিভিন্ন দেশের বন্দরে অবস্থান করে। এ জাহাজগুলো তাদের চলাচলের জন্য জ্বালানি সে দেশ থেকেই সংগ্রহ করে। বাংলাদেশ থেকেও বিদেশী জাহাজগুলো ফার্নেস তেল সংগ্রহ করে। কিন্তু বাংলাদেশে যে তেল আমদানি করা হয়, সেগুলোতে বেশি পরিমাণ সালফারযুক্ত। যার কারণে বাংলাদেশ থেকে বিদেশী জাহাজগুলো কয়েক বছর জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে পারত না। সেজন্য আন্তর্জাতিকভাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ‘লো সালফারযুক্ত’ জ্বালানি তেল ব্যবহারের কথা থাকলেও আমাদের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমরা এই জ্বালানি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেজন্য আমরা দরপত্র আহ্বান করেছি। এই জ্বালানি তেল আমদানি হলে পরিবেশদূষণের মাত্রা কমে যাবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে বিদেশী জাহাজে তেল সরবরাহে সমস্যা হবে না। প্রসঙ্গত,শূণ্য দশমিক ৫( ০.৫)% সালফার কন্টেন্টযুক্ত ফার্নেস অয়েল সরবরাহের নিমিত্তে যমুনা,পদ্মা ও মেঘনা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড সমূহের সাথে বাংলাদেশ বাংকার সাপ্লাইয়ার্স এসোসিয়েশনের(বিবিএসএ ) সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের সম্প্রতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রথম পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরকারী ৯টি প্রতিষ্টান যথা পোর্টল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল(ওটি নিউ শাহ আমানত-১),মেসার্স ফ্রাংক ট্রেড(ওটি সুলতান শাহ),মেসার্স ওশান ফুয়েলস ইন্টারন্যাশনাল(ওটি মিক মাহী), মেসার্স এ আর করপোরেশন( ওটি আতিফা জাহান), মেসার্স সী মেরিন ফুয়েল সাপ্লায়ার্স এন্ড কোং(ওটি নিউ সী কুইন এক্সেস-১),মেসার্স জিএল শিপিং লাইন্স (ওটি মিক হুদয়-১), মেসার্স আল নূর করপোরেশন(ওটি কর্ণফুলী ডিলাক্স-৭),মেসার্স ওহাব সী মেরিন সার্ভিসেস কোং-(ওটি মিউচুয়াল এক্সপ্রেস) এবং মেসার্স খিজির(আ.) এন্টারপ্রাইজ (ওটি এসএমএস-১) ০.৫)% সালফার কন্টেন্টযুক্ত ফার্নেস অয়েল বহন ও সমুদ্রগামী জাহাজে সরবরাহের অনুমতি পেল।